BIDVERTISER
Sunday, October 26, 2014
Tuesday, October 21, 2014
Monday, October 20, 2014
নাকফুল টা বিক্রি করে কাপন এর কাপর কিনে দিসস....
নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড়
কিনে দিও....
বিদ্ধাশ্রম থেকে একজন মায়ের চিঠি আমার আদর ও ভালোবাসা নিও।
অনেক দিন তোমাকে দেখি না, আমার খুব কষ্ট হয়। কান্নায় আমার
বুক ভেঙে যায়। আমার জন্য তোমার কী অনুভূতি আমি জানি না। তবে ছোটবেলায় তুমি আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে না। আমি যদি কখনও
তোমার চোখের আড়াল হতাম মা মা বলে চিৎকার করতে। মাকে ছাড়া কারও কোলে তুমি যেতে না।
সাত বছর বয়সে তুমি আমগাছ থেকে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলে। তোমার
বাবা হালের বলদ বিক্রি করে তোমার চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন তিন দিন, তিন রাত তোমার পাশে না ঘুমিয়ে, না খেয়ে, গোসল না করে কাটিয়েছিলাম।
এগুলো তোমার মনে থাকার কথা নয়। তুমি একমুহূর্ত আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার বিয়ের
গয়না বিক্রি করে তোমার পড়ার খরচ জুগিয়েছি।
হাঁটুর ব্যথাটা তোমার মাঝে মধ্যেই হতো। বাবা... এখনও কি তোমার সেই ব্যথাটা আছে?
রাতের বেলায় তোমার মাথায় হাত না বুলিয়ে দিলে তুমি ঘুমাতে না। এখন
তোমার কেমন ঘুম হয়?
আমার কথা কি তোমার একবারও মনে হয় না?
তুমি দুধ না খেয়ে ঘুমাতে না। তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার কপালে যা লেখা আছে হবে। আমার জন্য তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি খুব ভালো আছি। কেবল তোমার চাঁদ মুখখানি দেখতে আমার খুব মন চায়।
তুমি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবে। তোমার বোন....তার খবরাখবর নিও। আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলো আমি ভালো আছি।
আমি দোয়া করি, তোমাকে যেন আমার মতো বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। কোনো এক জ্যোস্না ভরা রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু ভেবে নিও। বিবেকের কাছে উত্তর পেয়ে যাবে। তোমার কাছে আমার শেষ একটা ইচ্ছা আছে।
আমি আশা করি তুমি আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবে। আমি মারা গেলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে নিয়ে আমাকে তোমার বাবার কবরের পাশে কবর
দিও। এজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। তোমার বাবা বিয়ের সময় যে নাকফুলটা দিয়েছিল সেটা আমার কাপড়ের আঁচলে বেঁধে রেখেছি।
নাকফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে নিও। তোমার ছোটবেলার একটি ছবি আমার কাছে রেখে দিয়েছি।ছবিটা দেখে দেখে মনে মনে ভাবি এটাই কি আমার সেই খোকা!’
এভাবে বেদনা ভরা একটি খোলা চিঠি ছেলের উদ্দেশে লিখেছেন মদিনা খাতুন (ছদ্মনাম),মদিনা খাতুনের বয়স এখন আশি। ছয় বছর আগে তার আশ্রয় জুটেছে বৃদ্ধাশ্রমে।
আশা করি সেয়ার করবেন.....
অবশেষে বের হলো এবোলোর ওশুধ ...
নিউজ ডেস্ক : প্রাণঘাতী ভাইরাস এবোলা নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। ভ্যাকসিনটির নাম হচ্ছে ভিএসভি-এবো। কানাডার বিজ্ঞানীরা কয়েক বছরের গবেষণায় এই অসাধ্য সাধন করেছেন।
শনিবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। আজ সোমবার থেকেই কানাডায় ক্লিনিক ও হাসপাতালে পরীক্ষামূলক এবোলার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর আগে অন্য প্রাণীর ওপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে কার্যকর ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে গত কয়েকমাসে এবোলা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল তার অবসান ঘটবে।
খবরে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য কানাডা ৮০০ ভাকসিন পাঠাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা গ্রেগরি টেইলর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের কয়েক বছরের গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার ফল হচ্ছে এই ভ্যাকসিন। এবোলা নির্মূলে এই ভ্যাকসিন সহায়তা করবে। এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো।’
যতটুকু জানা গেছে তা হলো, শুষ্ক বরফের সঙ্গে একটি বিশেষ বোতলে (কন্টেইনার) ভিএসভি-এবো ভ্যিাকসিন প্যাকেট করে বাজারজাত করা হচ্ছে। মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা মাইনাস ১১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ করতে হবে। কানাডার ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি এটি আবিষ্কার করেছে। কানাডীয় সরকার নিউলিংক জেনেটিকস করপোরেশনকে এটি বাজারজাতের অনুমতি দিয়েছে।
২০১৩ সালের শুরুতে এই ভাইরাস দেখা দেয়। মার্চে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। গত সেপ্টেম্বর থেকে এটি আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সিয়েরালিওন, লাইবেরিয়া, গায়নায় এবোলা আঘাত হেনেছে বেশি করে। কিন্তু এটি থামাতে না পারায় সৃষ্টি হয় উদ্বেগ উৎকণ্ঠার।
১৪ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত এবোলায় ৪ হাজার ৪৪৭ এর বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের এবোলা মিশনের প্রধান অ্যান্থনি ব্যানবারি বলেন, ‘মরণঘাতী এবোলা ভাইরাসকে থামানো না গেলে ‘নজিরবিহীন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা মোকাবেলার ক্ষমতা থাকবে না বিশ্ব সম্প্রদায়ের।’
তিনি বলেন, ‘এবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব সম্প্রদায় পিছিয়ে পড়ছে। ভাইরাসের সঙ্গে দৌড়ে আমরা পারছি না। আর এর ফলে ডিসেম্বর হাজার হাজার লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘এবোলা হুমকি মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায় যা করছে তা যথেষ্ট নয়।’ সঙ্কট নিয়ে সম্প্রতি তিনি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মান ও ইতালির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য প্রমাণে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, এবোলা মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা বাড়ানো না হলে দুই মাসেই নতুন আক্রান্তের সংখ্য ৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ হাজার ছাড়াবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন মরণব্যাধি এবোলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘জরুরি তহবিল’ গঠনের আবেদন জানিয়েছেন। কারণ লড়াইয়ে তহবিল ঘাটতির আশঙ্কা করছেন তিনি।
নিউজ সময়ের কন্ঠে স্বর..
Sunday, October 19, 2014
Saturday, October 18, 2014
Friday, October 17, 2014
Subscribe to:
Posts (Atom)