BIDVERTISER
Tuesday, November 4, 2014
ফেসবুকে প্রেমের টানে নিজের দেশ ত্যাগ করে এক নারী এখন বাংলাদেশে ...
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আলাপ আজকাল আর নতুন কিছু নয়! টুইটার, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের যুগে বরং ভার্চুয়াল জগতের মানুষরাই আজকাল যেন বেশি আপন। বর্তমান সময়ে ফেসবুককে বিবেচনা করা হচ্ছে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশের উল্লেখযোগ্য একটি জায়গা হিসেবে। এবং সেই সাথে সম্পর্ক তৈরিরও। ফেসবুকের বন্ধুরা হয়ে উঠছেন আপনের চেয়েও আপন!
শুধু কি বন্ধুত্ব? প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার মাধ্যম হিসেবেও ফেসবুক এখন ব্যাপক আলোচিত। ফেসবুক বন্ধুকে ভালো লেগে যাওয়া, কাছাকাছি আসা, অতঃপর প্রেম- এ যেন এখন ফেসবুকের নিত্যকার কাহিনী। একে অপরকে জানা, মানসিকতা বিচার, জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা লাভ- সবকিছুই হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। তাই এখন ফেসবুক শুধু সংহতি প্রকাশ বা বন্ধুত্বের মাধ্যম হিসেবে নয়, বিবেচিত হচ্ছে রোমান্টিক সম্পর্কের মাধ্যম হিসেবেও!
কথায় আছে ভালোবাসা মানে না কোনো জাত-পাত কিংবা দেশ-সীমানা। ভালোবাসার টানে কতো কপোত-কপোতী যে পরিবার পরিজন ছেড়ে প্রিয় মানুষের হাত ধরে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ফেসবুক এ কাজটিকে আরো সহজ করে দিয়েছে। এই অসংখ্য প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে যুক্ত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই কন্যা ইনগ্রিড জেনিথ।
দূরত্ব কোন বাধাই হতে পারে নি ইনগ্রিড জেনিথ আর আব্দুল আহাদের মধ্যে। অবশেষে ইনগ্রিড জেনিথ সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এবং বিয়েও করেছেন আব্দুল আহাদকে।
আব্দুল আহাদ সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহের ৪৯নং বাসার আব্দুল কাদির ও মিনারা বেগমের ছেলে। আর জেনিথ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মৃত রবাম লিং মেন্সিল ও ফ্রানাইস্কা গ্রথরিয়ামের মেয়ে। রোববার সন্ধ্যায় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
আহাদের কাছ থেকে জানা যায়- কয়েকমাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কিন তরুণী জেনিথের পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে স্কাইপ ও সেলফোনেও তাদের কথা বলা শুরু হয়। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। আর এই ভালোবাসার সুগভীর টানেই গত ৩০ অক্টোবর সুদূর আমেরিকা থেকে ঢাকা হয়ে সিলেট ছুটে আসেন জেনিথ। এরপর গত রবিবার সন্ধ্যায় মুসলিম বিবাহ রীতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
পেশায় সেবিকা জেনিথ ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট অবস্থান করবেন। এরপর ফিরে যাবেন নিজ দেশ আমেরিকায়। তবে পরবর্তীতে সুযোমতো তিনি বাংলাদেশে আসবেন এবং আহাদকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এদিকে আহাদ পেশায় একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী
নিউজ সুত্র সময়ের কন্ঠে স্বর..
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment